ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়কদের বিরোধিতার পর ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভা স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নগরের সার্কিট হাউস ময়দানে বেলা ৩টায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
এ সম্পর্কে ঢাকা থেকে আসা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে আজকের মতবিনিময় সভা স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে আসা সমন্বয়কদের মধ্যে বিতর্কিত দুজন রাতেই (গতকাল) চলে গেছেন। অন্যরা ময়মনসিংহে অবস্থান করে শহর গোছানোর জন্য কাজ করবেন।’ তবে তিনি দাবি করেন, ময়মনসিংহের সমন্বয়কদের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করা হচ্ছিল।
অবশ্য বিতর্কিত দুজনের নাম বলেননি সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম।
৮ সেপ্টেম্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সঙ্গে জেলায় জেলায় মতবিনিময় সভা শুরু হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, দেশ পুনর্গঠন, রাষ্ট্রসংস্কার, ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভা করতে সমন্বয়কদের ১০ সদস্যের একটি দল গত মঙ্গলবার ময়মনসিংহে আসে। বেলা তিনটায় নগরের সার্কিট হাউস ময়দানে এই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ওই আয়োজন ঘিরে ঢাকার থেকে আসা সমন্বয়কদের সঙ্গে স্থানীয় সমন্বয়কদের বিরোধ তৈরি হয়। স্থানীয় সমন্বয়কদের একটি দল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসে ওই মতবিনিময় সভায় যোগ না দিতে সাধারণ ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে আজ সকাল ১০টার মধ্যে ঢাকার সমন্বয়কদের ময়মনসিংহ ছাড়ার সময় বেঁধে দেয়। ময়মনসিংহে মতবিনিময় সভার জন্য কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক গকূল সূত্রধর বলেন, ‘ঢাকা থেকে ছাত্র নামধারী যারা এসেছেন, তাঁরা আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। এই সমাবেশের সঙ্গে ময়মনসিংহের আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ঢাকা থেকে যারা এসেছেন, তাঁরা সবাই বিতর্কিত। তাঁদের কোনো ধরনের প্রোগ্রাম করতে দেওয়া হবে না।’