• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩০, ২২ রজব ১৪৪৬

কাজ রেখে পালিয়েছেন ঠিকাদার, দুর্ভোগে এলাকাবাসী


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
কাজ রেখে পালিয়েছেন ঠিকাদার, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

শেষ হয়নি সেতুর কাজ, দু’পাশে পারাপারের জন্য বানানো হয়েছে কাঠ-বাঁশের মই। সেই মই যেন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয়ে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া গ্রামে কাজ শুরু হয় সেতুটির। গত বছরের শুরুতে কাজটির গতি থাকলেও গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ। সেতু তৈরির কাজে ব্যবহৃত মালামাল রেখে পালিয়েছেন ঠিকাদার ও তার লোকজন। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চার গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর এমন দুর্দশা গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে এলাকাবাসীর। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত, কৃষি জমির ফসল পরিবহনসহ ব্যাঘাত ঘটছে দৈনিক কাজে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

পথচারী শফিকুল ইসলাম বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে আমরা আশপাশের সকল মানুষ যাতায়াত করে থাকি। শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। অথচ সেতুটির কারণে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।”

কৃষক নরেশ চন্দ্র বলেন, “আলুর আবাদ করেছি। বীজের আলু ভ্যানে করে নিয়ে যেতে হয়। আবাদের সময় সার কীটনাশক নিয়ে যেতে হয়। আমরা এসব ভ্যানে নিয়ে যেতে পারছি না। তারা কাজটা এমনভাবে রেখে পালিয়েছে না শুরু না শেষ। আর দুই পাশে যে কাঠের রাস্তা করেছে সেগুলো আরও ভয়ানক। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

স্কুলছাত্রী নিলিমা রায় বলে, “প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়েই বিদ্যালয়ে যেতে হয়। বাধ্য হয়ে ব্রিজের নিচ দিয়ে নেমে অন্য পাশে উঠতে হয়। বর্ষার সময় তো বইপত্র ভিজে যায়। ব্রিজের কাজ শেষ করলে যাতায়াতে সুবিধা হবে।”

এবিষয়ে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রহমত আলী বলেন, “এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা হলে ব্রিজের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি।”

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাসেল পরিবহনের সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু শোয়েব খান বলেন, “চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কাজ শেষ করার মেয়াদ রয়েছে কাজটির। ভোগান্তি নিরসনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করা হবে।”

Link copied!