ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ফেনীতে মসলার বাজারে দাম বেড়েছে। পেঁয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে এলাচি-লবঙ্গের মতো মসলার চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। তাদের অজুহাত আমদানি নির্ভর প্রায় সব ধরনের মসলায় সরবরাহ কম এবং আমদানিতে উচ্চ শুল্কে মূল্যবৃদ্ধি। অন্যদিকে খুচরা দোকানিরা দোষ চাপান আড়তদারদের ওপর।
সরেজমিনে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচ ২৮০-৩২০, দেশি হলুদ ২৮০-৩১০, দেশি পেঁয়াজ ৮০-৮৫, রসুন সিনে দেশি ২০০-২২০, দেশি আদা ২৫০-২৮০, মনসাদে তেজপাতা ১৩০, দারুচিনি ৪৯০-৫৫০, লবঙ্গ ১৭৫০, এলাচ ২৮০০-৩২০০, জিরা ৭০০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো কিছু পণ্যের মূল্য গত বছরগুলোর তুলনায় ১৫-২০ শতাংশ বেশি। কিছু পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচের দাম। গত বছর কোরবানির সময় ২২০০-২৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল এলাচ। চলতি বছর তা ২৮০০ থেকে ৩৫০০ টাকা প্রতি কেজি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় যা চার হাজার টাকা পর্যন্ত ঠেকছে।
টিসিবির তথ্য মতে, গত বছর দেশি রসুনের কেজি ছিল ১৩০-১৫০ টাকা। বর্তমানে তা ২০০- ২২০ টাকা। এ ছাড়াও আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২৪০ টাকা কেজি দরে। গত বছর যা ছিল ১৩০-১৫০ টাকা। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮০-৩৫০, আর আমদানিকৃত আদা ২২০- ২৮০ টাকা। গত বছর যার দাম ছিল যথাক্রমে ৩৮০-৪০০ এবং ২৮০-৩৫০ টাকা। এ ছাড়াও বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকায়। ২০২৩ সালের এই সময়ে বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয় ৯৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। চলতি বছর যা বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়।
বছর ঘুরে দেশীয় জাতের শুকনা মরিচের দাম কমলেও বেড়েছে আমদানিকৃত মরিচের দাম। দেশীয় জাতের শুকনা মরিচ ২৮০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এর দাম ছিল ৪০০-৪৬০ টাকা। আমদানিকৃত শুকনা মরিচের কেজি ৪২০- ৫০০ টাকা, গত বছর যা ছিল ৪০০-৪৬০ টাকা।
দাগনভূঞা উপজেলার সিলোনিয়া বাজারের মুদি দোকানি নিজাম উদ্দিন জানান, পাইকারিতে আমরা মসলা কিনি ২ থেকে ৫ কেজির চালানে, কিন্তু খুচরায় ৫০ গ্রাম ১০০ গ্রাম করে বিক্রি করতে করতে কেজিতে টান পড়ে। এই ঘাটতি পূরণ করতে আমরা খুচরায় কিছু বাড়তি মূল্য ধরি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ কাউছার মিয়া বলেন, অনিয়মের অভিযোগ পেলে জরিমানা করা হচ্ছে। ভেজাল ও মূল্যবৃদ্ধি রুখতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।