টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সেতুর ৫০টি পিলার আছে। এর মধ্যে মে-জুনের মাসের মধ্যে পশ্চিমে ২৮টি ও পূর্ব অংশে ১০-১২টির কাজ শেষ হবে। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ কাজ সম্পূর্ণ হবে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর পূর্ব প্রান্তে পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
নুরুল ইসলাম সুজন আরও জানান, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের মধ্যে ১ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্প্যান বসেছে। পাইলিংয়ের কাজ ও স্প্যান বসানোর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রাকৃতিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজটি শেষ হবে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের অনেক প্রকল্প রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি বাধাহীনভাবেই এগিয়ে চলছে। ডলার সংকটের কারণেও এই প্রকল্পের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “রেলসেতুটি ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এর মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে যোগাযোগ সৃষ্টি হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া আমাদের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোর সামর্থ্যও তৈরি হবে। যমুনা ও পদ্মা এ দুটি নদী আমাদের যোগাযোগের ক্ষেত্র বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। পদ্মার ওপর রেলসেতু ও যমুনা রেলসেতু মাধ্যমে তা দূর হয়ে যাবে।”
নুরুল ইসলাম সুজন আরও জানান, সেতুর ওপর দিয়ে ১৩০ কিমি গতিবেগে রেল চলতে পারবে। ডাবল লাইনে রেল চলবে। সাইড বা ক্রসিংয়ের জন্য বসে থাকতে হবে না।
