ফরিদপুরে বিএনপি নেতা পরিচয়ে মহাসড়কের ওপর স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে চুন্নু মোল্যা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই নেতার দাবি ব্যক্তিগত স্থাপনা নয়, বিএনপির ক্লাবঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
জেলা সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদি বাজারের পাশে ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়কের ওপর ওই স্থাপনাটি নির্মাণাধীন রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়কের ওই অংশটির সেতু অকেঁজো হওয়ায় পাশেই সড়কের আরেকটি অংশ করা হয়। গত তিন বছর যাবৎ মূল সড়ক হিসেবে নতুন অংশটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপর থেকে ওই অংশটি বন্ধ হয়ে গেলেও ছোট যানবাহন চলাচল করে আসছে।
সম্প্রতি মহাসড়কের অব্যবহৃত ওই অংশের উপরেই অর্ধপাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন চুন্নু মোল্যা। সড়কের পিচঢালাইয়ের পুরো অংশের ওপরেই ইট-বালু দিয়ে পাকাকরণ করা হয়েছে। এরপর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কাঠামো তুলে ধরা হয়েছে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কেউ রাজি হয়নি। এসময় সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হন ওই চুন্নু মোল্যা। তিনি বলেন, “এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এটা আমি করতেছি। এখানে আমাদের ক্লাবঘর করা হবে। কয়েকদিন আগে জাঁকজমকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।”
অভিযুক্ত চুন্নু মোল্যা ওই এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েলের সমর্থক বলে পরিচয় দেন।
এছাড়া তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত সরদার।
তবে চুন্নু মোল্যা নামের ওই ব্যক্তি বিএনপির কোনো পদধারী নেতা নয় বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছা। তিনি বলেন, এখন অনেকেই কার্যসিদ্ধি করার জন্য বিএনপি পরিচয় দিয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, “সড়কের ওপর কেউ স্থাপণা নির্মান করলে সেটি সড়ক বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে এবং বিএনপির কেউ করে থাকলে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার বলেন, “আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। পিচ ঢালাই সড়কের ওপর স্থাপনা নির্মাণ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিষয়। আমরা এখনই স্থাপনা নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সে যে দলেরই হোক।”