• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ

নওগাঁ জেলার বৃহত্তর পশুর হাটগুলোর মধ্যে একটি মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়াহাট। কোরবানির উপযুক্ত সব ধরনের পশুর উপস্থিতি এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের দরদামে জমে উঠেছে বেচাকেনা।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার (১০ ও ১৪ জুন) এখানে পশুর হাট বসে। তবে এবছর সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, গরু প্রতি নেওয়া হচ্ছে ৯০০, ছাগলের জন্য ৪৫০টাকা। কেউ প্রতিবাদ করলেও অনেকটা জোড় করেই আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। তবে এভাবে টাকা আদায় করা হলেও রশিদে লেখা হচ্ছে না টাকার পরিমান। এতে করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাটে আসা ক্রেতা- বিক্রেতারা।

চৌবাড়িয়াহাট থেকে কোরবানির জন্য গরু কিনেছেন এরশাদ আলী। অতিরিক্ত হাসিল দিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি ৯৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। সেই গরুর জন্য লেখনি বাবদ ১০০টাকা ও খাজনা বাবদ ৯০০ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছে। কিন্তু আমার কাছ থেকে মোট ১০০০ টাকা নেওয়া হলেও রশিদে একটি টাকাও লেখেননি।”

ছাগল ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, “আমি একটি ছাগল কিনেছি। ওই ছাগলের জন্য খাজনা বা টোল দিয়েছি ৪৫০টাকা। তবে আদায়কারী খাজনা বাবদ ৪৫০টাকা নিলেও খাজনা রশিদে কোনো প্রকার টাকা লিখে দেননি। শুধু তাই নয় হাট থেকে বের হওয়ার সময় আবার একজন এর কাছে রশিদগুলো জমাদিয়ে ছাগল নিয়ে আসতে হয়েছে।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক হাসিল আদায়কারী বলেন, “ইজারাদার আমাদের যেভাবে হাসিলের টাকা আদায় করতে বলেছেন সেভাবে আদায় করছি।” কীভাবে আদায় করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “লেখনি বাবদ ১০০টাকা ও গরু-মহিষ ৯০০ টাকা নিচ্ছি।” রশিদে হাসিলের টাকার পরিমাণ উল্লেখ নেই কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপনি চৌবাড়িয়াহাট ইজারাদারের কাছে থেকে জেনে নিন।”

তবে হাসিল বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইজারাদার রফিক হোসেন ও লুৎফর রহমান। তারা বলেন, “সারা বাংলাদেশে পশুরহাটগুলোতে যেভাবে খাজনা আদায় করা হচ্ছে, আমরাও সেভাবে খাজনা আদায় করছি।”

জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেন, “আমরা নিয়মিত বিভিন্ন হাটে অভিযান পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি হাটে জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিটি হাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে, নিজ নিজ উপজেলার হাটগুলোতে নজরদারী বাড়ানোর জন্য।”

Link copied!