চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের সাতজন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এরপর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনাস্থল হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া ইজতেমার মাঠসংলগ্ন মহাসড়কে উপস্থিত হন।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক, চট্টগ্রাম বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) রায়হানা আক্তার উর্থী, চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার মো. আবু রায়হান উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির সদস্য জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি হাটহাজারীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বখতিয়ার উদ্দিন শামীম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর হাটহাজারীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু আহাসান মো. আজিজুল মোস্তফা, ফটিকছড়ি উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান পারভেজ এবং নাজিরহাট হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) রায়হানা আক্তার উর্থী বলেন, ‘চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারীর এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে এবং ওই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। যা পরে আপনাদেরকে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া ইজতেমা মাঠের সামনে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের সাতজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছিল।
নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, তিনটি শিশু ও একজন পুরুষ ছিলেন। নিহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থেকে অটোরিকশা যোগে ফটিকছড়ির নানুপুর এলাকায় একটি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।