• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩০, ১৫ রজব ১৪৪৬

কলেজে ভাঙচুর, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা


চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
কলেজে ভাঙচুর, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

চাঁদপুর সদরের ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ ও শ্রেণিকক্ষে ভাঙচুর করেছে স্থানীয় বহিরাগত যুবকেরা। একই সঙ্গে তারা কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে, প্রধান গেটসহ করণিকের কক্ষে তালাবদ্ধ করে দেয়।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

বহিরাগত লোকজন ভাঙচুর করলে ভয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মাঝে।

বিকেল ৪টায় কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে তিনটি তালা, পাশের করণিকের কক্ষে একটি তালা এবং প্রধান গেটে বহিরাগতদের নতুন তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য কলেজে দায়িত্বশীল কাউকেই পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলার কারণে কলেজের অধ্যক্ষ নেই। উপাধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ৫ আগস্টের পর দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়ার কারণে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকদের অসৌজন্যমূলক আচরণের আশঙ্কায় কলেজে যেতে পারছেন না উপাধ্যক্ষও। যার ফলে কলেজটি অনেকটা অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, বহিরাগত যুবকেরা কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুর, শ্রেণিকক্ষের মধ্যে স্পিকারও ভাঙচুর করেছে। তাদের কোনো বিষয়ে কথা বলার থাকলে সভাপতির কাছে বলতে পারত। কিন্তু ভাঙচুরের মতো অপরাধমূলক কাজ করা ঠিক হয়নি।

কলেজের সভাপতি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি  জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।

এমন পরিস্থিতিতে কলেজের করণিকসহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরাও আছেন ভয়ের মধ্যে। তাঁরা কলেজের সম্পদ রক্ষায় কলেজেই অবস্থান করছেন। দায়িত্বের কারণে কলেজে মূল্যবান সম্পদ রক্ষার জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা কলেজে অবস্থান করছেন। কারা ভাঙচুর চালিয়েছে জেনেও ভয়ে বলতে পারছেন না কর্মচারীরা।

সভাপতির দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত এই বিষয়ে বলেন, “ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজে ভাঙচুরের বিষয়টি আমি জানি না। তবে কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!