কৃষি নির্ভর ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিনিয়ত চাষ-আবাদে যুক্ত হচ্ছে নতুনত্ব সেই সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে একই জমিতে উৎপাদন বৃদ্ধি করছেন অনেক তরুণ উদ্যোক্তারা। তাদের মধ্যে একজন কলেজ শিক্ষার্থী রিশাদুজ্জামান রিশাদ।
বাড়ির পাশে পতিত জমিতে প্রথমে মাল্টা চাড়া দিয়ে শুরু করেন বাগান। পরে বাগানের মধ্যে সিমেন্টের খালি বস্তায় মাটি দিয়ে বাগানেই শুরু করেন আদা চাষ। এতে লক্ষাধিক টাকা লাভের স্বপ্ন বুনছেন তিনি।
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র রিশাদ সদর উপজেলার ফাড়াবাড়িতে বাড়ির পাশে পরে থাকা ১০ শতাংশ জমিতে ১০০ মাল্টা চারা দিয়ে বাগান করেন । পরে ইউটিউব দেখে সেখানেই সিমেন্টের এক হাজার খালি বস্তায় মাটি ভরে শুরু করেন আদা চাষ। তার সফলতায় প্রতিদিন আশপাশের গ্রাম থেকে বাগান দেখতে আসেন অনেকেই।
প্রতিবেশীরা জানান, রিশাদের এই উদ্যোগ অনেক ভালো লেগেছে। তার মতো যদি অন্যরা এইভাবে বাগানে আদা চাষ করে তাহলে একদিকে যেমন কৃষক লাভবান হবে, সেই সঙ্গে মসলাজাতীয় ফসল আদার চাহিদা পূরণে আলাদা কোনো জমির প্রয়োজন হবে না।
রিশাদুজ্জামান রিশাদ বলেন, “পড়াশোনা পাশাপাশি কিছু করার ইচ্ছা থেকে বাড়ির পাশে পরে থাকা জমিতে মাল্টা বাগান গড়ে তুলি। পরে ইউটিউবে ভিডিও দেখে সেই জমিতে আবার আদা চাষ করি। এবার প্রথম হলেও খরচ বাদ দিয়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারব বলে আশা করি।”
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে জেলাজুড়ে ১২৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা বাগান রয়েছে। আর ১১৬ হেক্টর জমিতে হয়েছে আদা চাষ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই জেলায় লেবুজাতীয় ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত। আমাদের ৫টি উপজেলার মধ্যে সদর বাদ দিয়ে বাকি চারটি উপজেলায় প্রকল্প রয়েছে। যার মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রিশাদের মতো যারা তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছেন, তাদেরকে কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, “যারা নতুন উদ্যোক্তা তারা সরাসরি আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও সহায়তা নিতে পারেন।”