• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টানা শৈত্যপ্রবাহে পঞ্চগড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
টানা শৈত্যপ্রবাহে পঞ্চগড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত
কনকনে শীতে পঞ্চগড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত। ছবি : প্রতিনিধি

উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে পঞ্চগড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত। কয়েক দিন থেকে জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে। এতে করে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে থমকে গেছে উত্তরের হিমপ্রবণ জেলার কর্মজীবন। জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২৩ জানুয়ারি থেকেই জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এর মধ্যে ২৩ জানুয়ারি ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ডে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও গতকাল বুধবারসহ আজ দুই দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়।

এদিকে বেশ কয়েক দিন ধরেই পঞ্চগড়ের চারদিক ঢেকে যায় ঘন কুয়াশায়। অনুভূত হতে শুরু করে হাড়কাঁপানো শীত। রাতের বেলা বৃষ্টির মতো টিপটিপ ঝরতে থাকে কুয়াশা। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষ। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় তাদের দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই তাদেরকে কাজে যেতে হচ্ছে। আজ সকালেও ঘন কুয়াশায় জেলার সড়কগুলোয় যানবাহন চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন চালকেরা। দুর্ঘটনা এড়াতে যানচালকদের হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে দেখা যায়।

এদিকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুদিন পাঠদান ও মাধ্যমিকে ৩ দিন পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে প্রাইভেট, কোচিং ও শিশু শ্রেণির মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের যেতে দেখা গেছে।

এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন।

চিকিৎকরা জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগ নিয়ে প্রচুর রোগী আসছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু। শীত বাড়লে এই রোগ আরও বাড়বে। শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। শীতে শিশুদের সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের প্রকোপ বাড়ে। একই সঙ্গে চর্মরোগ ও ডায়রিয়ার মতো রোগও বাড়ছে। শিশুদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না। শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ অঞ্চলে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা ও হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্রশীত অনুভূত হচ্ছে।

Link copied!