নীলফামারীতে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তাদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি, রয়েছেন বয়স্করাও।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শীতজনিত রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
পৌর শহরের শান্তিনগর মহল্লা থেকে আসা শিশু আদিবার মা বলেন, “আমার দশ মাসের শিশু আদিবার হঠাৎ পাতলা পায়খানা শুরু হয়। তারপর সকালে হাসপাতালে ভর্তি করার পর কিছুটা কমেছে।”
চওড়া ইউনিয়ন থেকে আসা এক শিশু রোগীর মা বলেন, “কয়েক দিন ধরে শীত ও বাতাস বাড়ার কারণে আমার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট ও জ্বর দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা নিতে।”
ডোমার উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোমানের মা বলেন, “সকালে ছেলেকে নিয়ে এসেছি। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর উঠছে ছেলের। ভর্তির পরপরই একবার ডাক্তার এসে দেখে গেছে। এখন ছেলে কিছুটা সুস্থ হলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে সময় লাগবে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।”
শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ নার্স মনিরা বেগম বলেন, “হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত বেড রয়েছে ১০টি। আমরা সেখানে আরও কিছু যুক্ত করেছি। এখানে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। আর এখান থেকে প্রতিদিন ৫০ জনের ওপরে শিশু চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছে। ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুদের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।”
হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল আউয়াল বলেন, “শীতের প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে। কনকনে ঠান্ডায় শিশু ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, হাঁপানী, এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টসহ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতজনিত রোগ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে এসে বিশেষজ্ঞ চিকিসকের পরামর্শ নিতে হবে।”
নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসিবুর রহমান বলেন, “শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের একেবারেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না।”