• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৎপর কোস্টগার্ড


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২, ০৭:১৯ পিএম
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৎপর কোস্টগার্ড

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জের ধরে আবারও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্খা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে টেকনাফের নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিন সমুদ্রসীমা পর্যন্ত পুরো এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে উপকূলীয় রক্ষীবাহিনী কোস্টগার্ড।

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, “পার্শ্ববর্তী দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় বাংলাদেশর টেকনাফ সীমানায় যেন বিন্দুমাত্র বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি না হয় এজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। মানবপাচার, চোরাচালান, মাদকদ্রব্য পাচারসহ নতুনভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে কোস্টগার্ড। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার সুযোগে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে নিরলসভাবে কাজ করেও যাচ্ছে তারা।

রোববার (২ অক্টোবর) দিনব্যাপি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া নাফ নদী হয়ে গভীর বঙ্গোপসাগর দিকে ছুটছে কোস্টগার্ডের দুটি হাইস্পীড বোট। এছাড়াও রয়েছে আরও অসংখ্য দ্রুতগতির জলযান। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে নাফ নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে। মূলত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা সংঘাত নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে কোস্টগার্ডের টহল দল।

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার আশফাক বলেন, “নাফ নদী থেকে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন পর্যন্ত সার্বক্ষনিক টহল জোরদার করা হয়েছে। যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে। সার্বক্ষনিক নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে দুটি বোট একটি ওপরের দিকে গেলে আরেকটি নিচে দিকে টহলে যায়। যাতে কোনো ধরণের ফাঁক না থাকে।

কোস্টগার্ড জানায়, সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ টেকনাফ হতে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত রাত-দিন নিয়মিত অত্যাধুনিক হাইস্পীড বোটের মাধ্যমে টহল চলমান রয়েছে। এছাড়াও টেকনাফ, শাহপরী, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনে বর্তমানে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো প্রকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে কোস্টগার্ড দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে।

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের অফিসার লে. কমান্ডার তৌহিদ বলেন, “সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখা হয়েছে। যাতে কোনো ধরণের অবৈধ অনুপ্রবেশকারি বোট রোহিঙ্গা নিয়ে বা মাদক নিয়ে চোরাকারবারি বাংলাদেশের জলসীমায় আসতে না পারে।”

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, “যে কোনো প্রকার গুজব কিংবা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা যেন অনাকাঙ্খিত কোনো পরিস্থিতি বা অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে। এজন্য নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারিসহ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কোস্টগার্ড।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!