জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন, ব্যবহার এবং পরিবহন বন্ধের দাবিতে সুন্দরবনকে পেছনে রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল একদল শ্রমজীবী মানুষ। তাদের হাতে ছিল প্রতিবাদসংবলিত প্ল্যাকার্ড।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে সুন্দরবনের ঢাংমারিতে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের আয়োজনে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে ’গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন ফর ক্লাইমেট জাস্টিস-এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে পরিবেশ ও জলবায়ু সংকটে পড়ছে। জলবায়ু সংকট সুন্দরবনসহ পৃথিবীর বাস্তুসংস্থানকে বিনষ্ট করছে। জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের বন্য প্রাণীর প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। উপকূলে সুপেয় পানির সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুন্দরবন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরবাড়ি লন্ডভন্ডসহ জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন, ব্যবহার ও পরিবহন থেকে দ্রুত বেরিয়ে এসে সবাইকে জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় নবায়নযোগ্য সবুজ জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের দলনেতা পরিবেশকর্মী স্টিফেন হালদার। অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন কৃষক নেতা কৃষ্ণপদ মণ্ডল, বাপা নেতা ইদ্রিস ইমন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের কমলা সরকার, নদীকর্মী সাংবাদিক হাছিব সরদার।