• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩০, ২০ রমজান ১৪৪৬

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রাইভেট শিক্ষক গ্রেপ্তার


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রাইভেট শিক্ষক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার মো. সুজন। ছবি : প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার মো. সুজন (৩১) সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের হেঞ্জু মিয়ার ছেলে।  

বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে
এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে একই দিন দুপুরের দিকে নোয়াখালী পৌরসভা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।    

র‍্যাব জানায়, ভিকটিম (১৪) সদর উপজেলার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গ্রেপ্তার আসামি পরস্পর প্রতিবেশী এবং ভিকটিমকে প্রাইভেট পড়াত। প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে ওই শিক্ষক অসৎ উদ্দেশ্যের লক্ষ্যে ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতো। ছাত্রীর মা বিষয়টি টের পেয়ে তার বাবাকে জানায়। ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, প্রাইভেট শিক্ষক তাকে গোপনে চট্টগ্রামে বেড়াতে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়।  

র‍্যাব আরও জানায়, এ বিষয়ে বিপদের আশঙ্কা করে মেয়ের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করে দেয় বাবা এবং মেয়ের মানসিকতার বিষয় বিবেচনা করে বেড়ানোর জন্য পাঠিয়ে দেয়। ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সুজন ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নোয়াখালী থেকে ফেনী জেলায় নিয়ে যায়। পরে ফেনী থেকে মেয়ে ও অভিযুক্ত শিক্ষককে এবং স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিজ্ঞাসাবাদে বিবাদী ভিকটিমকে তার বিবাহিত স্ত্রী বলে দাবি করে। কিন্তু বিয়ের স্বপক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এই ঘটনার ভিকটিমের বাবা নিজে বাদি হয়ে এজাহার দায়ের করলে মামলা রুজু হয়। মামলায় বিজ্ঞ আদালত বিবাদির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করলে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে।  

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু বলেন, “গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

Link copied!