ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ১০ গ্রামের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে ৫৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এসময় হামলাকারীরা ৩/৪ টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। সংঘর্ষে আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় ভাঙ্গা কে এম কলেজ মাঠে পৌরসভা ও আলগী ইউনিয়নের কিছু যুবকদের মধ্যে ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রথমে মারামারির সূত্র হয়। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী, হোগলাডাঙ্গি সদরদীসহ আশপাশের গ্রাম ও আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা, মাজারদিয়া, বালিয়াচরাসহ আশপাশের গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বেলা ১২টা থেকে চলা সংঘর্ষ দুপুর ৩টা পর্যন্ত ১০টি গ্রামের লোকজন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দেশি অস্ত্রশস্ত্র ও ইট পটকেল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। পুলিশের ভূমিকায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে শত শত দোকান পাট রক্ষা পায়।
এব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, “সকালে কয়েকজন যুবক ছেলেদের কে এম কলেজ মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পরে তাদের অভিভাবকরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫৪ রাউন্ড গুলি ছুড়তে বাধ্য হই। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষেই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।