ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাটে গিয়ে গরুর ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে বাবনাতলা হাটে পীরেরচর গ্রামের একটা গরুর ছবি মোবাইলে ধারণ করেন গঙ্গাদরদী গ্রামের আরিফ মুন্সী। ওই সময় চৌকিঘাটা গ্রামের নিরব বিশ্বাস ছবি তুলতে নিষেধ করেন। এই নিয়ে চৌকিঘাটা ও গঙ্গাদরদী গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় চৌকিঘাটা গ্রামের নিরব ও আরিফ বিশ্বাসসহ অন্তত সাতজন আহত হন।
এ ঘটনার সূত্র ধরে শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে চৌকিঘাটা গ্রামের পলাশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন তরুণ ঘারুয়া বাজারে লালন মোড়ল নামের দন্তচিকিৎসকের দোকানে ঢুকে তাদের মারধর করেন। এতে চিকিৎসক লালন মোড়ল ও সম্রাট মোড়লসহ ৫-৬ জন আহত হন।
এ ঘটনার খবর গঙ্গাদরদী ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামের লোকজন একত্র হয়ে দেশীয় অস্ত্র, ঢাল, সুরকি, টেঁটা, কাতরা নিয়ে চৌকিঘাটা গ্রামে হামলার জন্য রওনা হয়। তবে সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানার পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। এতে বড় ধরনের সংঘাত থেকে রক্ষা পায় এলাকাবাসী।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ জানান, ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে একপক্ষ উত্তেজিত হয়েছিল। তবে বড় কোনো সংঘর্ষ হয়নি। এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।