• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩০, ১২ রজব ১৪৪৬

খেয়াঘাট দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
খেয়াঘাট দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় খেয়াঘাট দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার রাতে ও শনিবার (১০ ও ১১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের হরিরহাট বাজারে দুই দফায় এই সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ চলাকালে হরিরহাট বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে শুক্রবার রাতে এবং শনিবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আলগী ইউনিয়নের হরিরহাট বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাট দিয়ে বর্ষা মৌসুমে ব্যবসায়ীরা মালামাল আনা-নেওয়া করতেন। বর্তমান শুকনো মৌসুমে খেয়া ঘাটের জায়গাটি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। এই সুযোগে ওই খেয়া ঘাটের পরিত্যক্ত জায়গায় শুক্রবার সন্ধ্যায় বড়দিয়া গ্রামের রিজু ও আমিরের নেতৃত্বে দুইটি ছাপড়া ঘর তোলেন। তখন পূর্ব আলগী গ্রামের নাঈম সেখানে বাঁধা দেন। এই নিয়ে বাজারের তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়।

রাতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শনিবার ভোরে আবারও দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন।

সংবাদ পেয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এ বিষয়ে আলগী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়া বলেন, “আলগী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী হরিরহাট বাজারের জায়গায় ঘর তোলা নিয়ে আমির, লিয়াকত ও নাঈম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে আমিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ভাঙ্গা থানা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করি। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”    

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, “ওই এলাকা এখন শান্ত রয়েছে। এব্যাপারে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!