• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বাস চলাচল নিয়ে দু‍‍পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধ


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
বাস চলাচল নিয়ে দু‍‍পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধ

নাটোরে বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে মালিক সমিতির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের হরিশপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

আহতরা হলেন আবুল হোসেন(৪৫), সুরুজ মিয়া (৪০), কিরন হোসেন (৫০), মমিনুল ইসলাম হিমেল(২৯), খোকা(২৮) এবং গুলিবিদ্ধ সুবেল (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে মালিক সমিতির দুই পক্ষের মধ্য মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আরপি রোকেয়া পরিবহনের মালিকের ফাতিজা সুবেল গুলিবিদ্ধসহ মালিক সমিতির মাষ্টার কিরনসহ আরও পাঁচজন গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধসহ আহতদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধসহ দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

নাটোর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান জানান, জেলা যুবলীগের সভাপতি বাঁশিরুর রহমান রহমান এহিয়া চৌধুরী সম্প্রতি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়ে হরিশপুর টার্মিনালে সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে কাউন্টার ঘর নির্মাণ করেছেন, পূর্বে সেখানে বনলতা নামক একটি কাউন্টার ছিল সড়কের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি অবৈধভাবে স্থাপনা করে টিকিট কাউন্টার করেন এবং দীর্ঘদিন থেকে আমি ঢাকা গাজীপুর রোডে প্রায় ২০ থেকে ২২টি রাজকীয় পরিবহন নামে যাত্রী সার্ভিস দিয়ে আসছিলাম। হঠাৎ করে এশিয়া চৌধুরী বল প্রয়োগ করে আমার ১০ থেকে ১২টি গাড়ি বন্ধ করে দেন এবং বলেন ১০টার বেশি তার কোনো গাড়ি চলতে দেয়া হবে না। এ বিষয়টি গত ১৮ জুন নাটোর জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।

আর আমার গাড়ি চলাচলে চৌধুরীর লোকজন বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে তার লোক হরিশপুরের খোকাকে মারপিট করে। এতে খোকার আত্মীয়স্বজনরা পাল্টা  আক্রমণ করলে গণ্ডগোল সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে বর্তমান পাঁচ মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাসিরুর রহমান খান চৌধুরি এহিয়া বলেন, “নাটোরে সাড়ে ৩০০ বাস মালিক রয়েছেন। এর মধ্য রাজকীয় বাসের মালিককে এককভাবে ১৫ -২০টি গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তারপরও তার ২০টি গাড়ি সড়কে চলাচল করে। এ বিষয়ে তাকে বলা হয়, আরও বাস মালিক রয়েছে তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক। এরপর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাহিনী দিয়ে এ হামলা চালায়। এ হামলায় ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দাবী করছি।”

নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আবু রায়হান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। দু-পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ  পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Link copied!