প্রথমে আলু সিদ্ধ করে পরে তা রোদে শুকিয়ে চিপস তৈরি করে সারা দেশ বিক্রি করছেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার শ্রীকৃষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দারা। দুই মাস ধরে আলু থেকে চিপস তৈরির কাজ করছে গ্রামটির প্রায় চার শতাধিক পরিবার।
রাত পর্যন্ত চলতে থাকে আলু সেদ্ধ করার কাজ। আর সেই সেদ্ধ করা আলু কেউ গোলাকার আবার কেউ ঝুরি ঝুরি করে কেটে রোদে শুকাচ্ছেন। শুকানো এসব আলু ভেজে চিপস তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এ এলাকার মানুষ।
বর্তমানে গ্রামের তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে শিশু-কিশোররাও চিপস প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাতে তৈরি করা এসব আলুর চিপসের ব্যাপক চাহিদা স্থানীয় বাজারে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব আলুর চিপস দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, কয়েকটি পরিবার ছাড়া সবাই আলুর চিপস তৈরি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। মৌসুমি এ ব্যবসার আয়ে সারা বছর সংসার চলে তাদের। প্রতিদিন গ্রামে চিপসের জন্য দেড় থেকে দুই হাজার মণ আলু সেদ্ধ করা হয় বলেও জানান তারা। প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আলুর চিপস তৈরির কাজ চলে তাদের। এ চিপস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়
কার্ডিনাল জাতের আলু।
তারা আরও জানান, পাঁচ মণ আলু শুকিয়ে এক মণ চিপস হয়। প্রতি মণ চিপস ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। আলুর এ চিপস মহাজনরা কিনে নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন। তবে এই চিপস তৈরি করে কারও লোকসান হয় না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, “এভাবে আলুর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে আলুচাষিদের উৎপাদিত আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে। ফলে আলু চাষে কৃষকরা আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন।”