চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের মহানগর গ্রামে পুকুর খননের সময় একটি গ্রেনেড পাওয়া যায়। পরে সেটি নিয়ে তিন দিন ধরে খেলা করছিল শিশুরা। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে।
পরে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে রোববার (১৯ মে) বিকেলে পাঁচটার দিকে সেটির বিস্ফোরণ ঘটায়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৈয়দপুর ইউনিয়নের মহানগর গ্রামের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, “তিন দিন আগে (১৬ মে) স্থানীয় তমিজ উদ্দিনের বাড়ির বাগানে আম কুড়াতে যায় ৭-৮ বছর বয়সী কয়েকজন শিশু। ওই বাড়িতে একটি পুকুর খননের কাজ চলছিল। আম কুড়ানোর সময় পুকুরের ভেতরে লোহাসদৃশ একটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখে এক শিশু। এরপর সেটিকেও ধুয়ে শিশুটি তার ঘরে নিয়ে আসে।”
মোশারফ হোসেন আরও বলেন, “এরপর বিপজ্জনক এ বস্তু নিয়ে তিন দিন ধরে ওই শিশুসহ সহপাঠীরা খেলাও করেছে। আজ সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি বস্তুটিকে খেয়াল করে। তার কাছে গ্রেনেডসদৃশ মনে হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন।”
সীতাকুণ্ড থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, “সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তুটি গ্রেনেড বলে চিহ্নিত করে। পরে তারা সিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলকে ছবিসহ বার্তা পাঠান। বিকেলে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তারা গ্রেনেডটি উদ্ধার করে লোকালয় থেকে আধা কিলোমিটার দূরে খোলা মাঠে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে। বিস্ফোরণের সময় পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে।”
কামাল উদ্দিন আরও বলেন, “গ্রেনেডটি ব্রিটিশ আমলের তৈরি। পিনের ত্রুটি থাকায় তখন সেটি বিস্ফোরণ হয়নি। সেসময় সম্ভবত গ্রেনেডটি পুকুরটিতে পড়ে। তিন দিন আগে পুকুর খোঁড়ার সময় গ্রেনেডটি পায় শিশুরা। এটি এতই শক্তিশালী ছিল যে বিস্ফোরণে ঘরবাড়ি উড়ে যেতে পারত।”