• ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

মামার সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে বন্যার পানিতে প্রাণ গেল শিশুর


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
মামার সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে বন্যার পানিতে প্রাণ গেল শিশুর
আহত ফাহিমকে ঘিরে স্বজনদের ভিড়। ছবি : সংগৃহীত

শেরপুর সদর উপজেলার ধলা ইউনিয়ন থেকে মামার সঙ্গে নালিতাবাড়ী নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে বন্যার পানিতে ডুবে জিমি আক্তার (৮) নামের এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘোনাপাড়া জামে মসজিদের সামনে রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ফাহিম (৯) নামের আরেক শিশু আহত হয়। 

জিমি শেরপুর সদরের ধলা ইউনিয়নের চান্দেরনগর কড়ইতলা এলাকার জামান মিয়ার মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সে তার মামার সঙ্গে নালিতাবাড়ী উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামে নানা নুরালী মিয়ার বাড়িতে নানার শ্যালকের কুলখানির দাওয়াতে আসে।

স্থানীয়রা জানান, কুলখানির দাওয়াতের জন্য জিমির এক মামা বৃহস্পতিবার তাকে বাবার বাড়ি থেকে নানার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এদিকে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বেশ কয়েকটি নদীর পাড় ভেঙে নালিতাবাড়ীতে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়। ঘোনাপাড়া গ্রামও বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। ফলে ওই কুলখানির অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। বন্যা নেমে গেলে পরে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই জেরে জিমি সে পর্যন্ত নানার বাড়িতে অবস্থান করছিল।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে জিমি তার ছোট মামা ফাহিমের (৯) সঙ্গে নানার বাড়ির সামনে মসজিদের পাশে রাস্তায় খেলছিল। রাস্তায় পানি থাকায় খেলার এক পর্যায়ে ফাহিম ও জিমি পা পিছলে নিচে পড়ে যায়। এসময় জিমি পানির গভীরে চলে গেলেও ফাহিমের শরীরের কিছু অংশ ভেসে উঠছিল। পরে দূর থেকে এক কিশোর বুঝতে পেরে ফাহিমকে উদ্ধার করে।

এসময় ফাহিমের দেওয়া তথ্যে স্থানীয়রা পানিতে নেমে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী খোঁজাখুঁজি করে জিমিকে উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বজনরা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জিমিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে শিশুটিকে এক নজর দেখার জন্য এলাকাবাসীরা বাড়িতে ভীর করছেন।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

Link copied!