আর কয়েক দিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের বাজারগুলোতে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে মুরগি। এছাড়া সালাদে ব্যবহৃত টমেটো, শসা, গাজরের দামও বেড়েছে। একইসঙ্গে চড়া রয়েছে লেবুর দামও। একই পথে হাটছে বেগুন, করোলা, লালশাক ও পুঁইশাক।
রোববার (২৩ মার্চ) সিলেটের আম্বরখানা ও মদিনা মার্কেটসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিন-চার দিন আগে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। একইভাবে সোনালি মুরগি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি সোনালি মুরগির দাম ছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, তিন-চার দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পাইকারি বাজারেও দাম চড়া। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
মদিনা মার্কেটের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, মাত্র তিন-চার দিনের ব্যবধানে এক ধাক্কায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। পাইকারি বিক্রিতে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব বেশি পড়েছে। ঈদের আগে দাম আরও বাড়তে পারে।
আম্বরখানা এলাকার মুরগি বিক্রেতা হাসানাত বলেন, “অন্যান্য সময় রমজানের শুরুতে মুরগির দাম বেড়ে যেত। এবার রমজানে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরাও বাধ্য হয়ে বেশি দামে মুরগি বিক্রি করছি।”
এছাড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো ৩০-৪০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, করোলা ৬০-৮০ টাকা, প্রতি আঁটি পুঁইশাক ৪০-৫০ টাকা ও লালশাক ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, এসব সবজির দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। আবার কিছু কিছু সবজি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ঈদের সময় ঘনিয়ে এলে দাম আরও বাড়তে পারে।
আম্বরখানা এলাকার সবজি বিক্রেতা আলী আকবর বলেন, “বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু সবজির সরবরাহ কমে যাচ্ছে। আবার নতুন কিছু সবজি বাজারে আসবে। যার কারণে কিছু কিছু সবজির দাম বেড়ে গেছে। আর নতুন যেসব সবজি বাজারে আসছে সেগুলোর দাম স্বাভাবিকভাবেই চড়া থাকবে।”