• ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩০, ২৫ রমজান ১৪৪৬

ছাত্রদলের ১১টি পদে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
ছাত্রদলের ১১টি পদে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুত কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ ১১টি রাখা হয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাদের।

রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির এই কমিটির অনুমোদন দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাবনা মেডিকেল কলেজের নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটি এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হল শাখার পূর্বের কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- শাখা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কলেজের হল শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিমুল আহসান তনিম ছিলেন তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, সহ-সভাপতি রাহুল রায় ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ আল ফায়াদ ছিলেন ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত ছিলেন ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ছিলেন ছাত্রলীগেরও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ছিলেন ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক, আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসরীফ আলম ছিলেন হল ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক। এছাড়াও নবনির্বাচিত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাবিল,  প্রচার সম্পাদক সামিন রাফিদ আরোহ ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

এবিষয়ে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ বলেন, “আমি কখনো ছাত্রলীগ করতাম না। কিন্তু ওই সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কলেজে যারা একটিভ ছিল তাদেরকেই কমিটিতে সরাসরি অ্যাড করে দিয়েছিল। আমার অনুমতি না নিয়েই তারা আমাকে ছাত্রলীগের হল কমিটিতে রেখেছিল।”

ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি সাগর মাহমুদ বলেন, “ওদের অজান্তেই ওরা হল কমিটিতে নাম ছিল। কিন্তু জুলাই আন্দোলনে পদত্যাগসহ তারা সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিল। আন্দোলনের পরপরই তারা ওই কমিটিতে কীভাবে নাম এলো তা ক্লিয়ার করেছে। তারা পদত্যাগ অনেক আগেই করেছে বা সেগুলো নিয়ে আমাদের কাছে ক্লিয়ার ভিডিও আছে। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।”

এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসিরের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলফোনে একাধিবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

Link copied!