চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তার নাম শামীমা সীমা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরের চকবাজার থানার গোলপাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরদিন (বৃহস্পতিবার) নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে সোপর্দ করছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী শামীমা সীমা চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চবি ছাত্রলীগের নারীদের গ্রুপ ‘সংগ্রাম’ এর নেতৃত্ব দিতেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চবিতে তৃতীয় শ্রেণির চাকরি নিয়েছিলেন শামীমা সীমা। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হলে এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর যাননি।
শামীমা সম্প্রতি নগরের গোলপাহাড় এলাকার পিটুপি নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। বুধবার অফিস থেকে বের হওয়ার পথে তাকে অবরুদ্ধ করে কিছু লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চকবাজার থানা-পুলিশের একটি টিম। পরে সীমাকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির বলেন, বিক্ষুব্ধ কিছু লোকজন চবি শাখা ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।