ফরিদপুরের সালথায় মো. সুজন মাতুব্বর (৩০) নামের এক অটোভ্যান চালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সাইফুল আলম নামের এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আহত সুজনের পরিবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে সালথা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত সুজন মাতুব্বর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের খলিশাডুবি গ্রামের ইদ্রিস মাতুব্বরের ছেলে। অভিযুক্ত হামলাকারী সাইফুল আলমও খলিশাডুবি গ্রামের বাসিন্দা ও ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক।
আহত সুজনের পরিবার জানায়, ছাত্রদল নেতা সাইফুল আলমের পারিবারের সঙ্গে তাদের পরিবারের জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এর আগে ওই ঝামেলা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মারামারিও হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রদল নেতা সাইফুল প্রতিশোধ নিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সুজনের পরিবারের ওপর হামলা চালানোর সুযোগ খুঁজতে থাকেন তিনি।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সুজন ভ্যান নিয়ে সালথা বাজারে এলে সাইফুল ও তার ভাই নাইম মাতুব্বরসহ ৩-৪ জন তাকে ধরে একটি বাগানের ভেতর নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা সুজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, “সুজন আমার সম্পর্কে ভাতিজা হয়। সে ২০১৪ সালে আমাকে দুইবার লাঠি দিয়ে আঘাত করে। সে সময় আমার বাবা ঠেকাতে গেলে আমার বাবার হাত ভেঙে যায়। এছাড়া দেড় বছর আগেও আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তাই আমার ছোট ভাই ওকে চড়থাপ্পড় মেরেছে। কিন্তু হাতুড়ি পেটা করেনি। পরে বিষয়টি শুনে আমি মীমাংসা করে দিয়েছি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।”
এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”