পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় কবিরাজির নামে প্রতারণার অভিযোগে রেজাউল করিম (৪০) নামের এক ব্যক্তি এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে আটঘরিয়ার ধলেশ্বর মহল্লায় ওই ভুয়া কবিরাজের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়।
এসময় থেকে ৫টি মাথার খুলি, তজবি, হিন্দু ধর্মের বই, ত্রিশূল, একটি লোহার বড় চেন, শংখো, সিঁদুর, স্বামীর সংসার জোড়া লাগানো একটি মেয়ের ছবিসহ আরও বিভিন্ন গাছগাছালির ছাল জব্দ করা হয়। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সালের ৪১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ভুয়া কবিরাজ রেজাউলকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট নাহারুল ইসলাম তাকে এই কারাদণ্ড দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. কামরুজ্জামান, জেলা এনএসআই পাবনার সহকারী পরিচালক, থানা পুলিশসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, প্যারালাইসিস, জ্বীন ভুতের আছর, স্বামীর সংসার জোড়া লাগানো, ভাঙ্গা প্রেমে জোড়া লাগানো, মনের মানুষকে পাওয়ার ব্যবস্থা, বাচ্চা দানে অক্ষমদের বাচ্চা হওয়ানোর ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার কথা বলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন রেজাউল করিম। চিকিৎসা বাবদ মজুরি হিসেবে তিনি নগদ অর্থ, মুরগী, পাঠা ছাগল নিতেন।
পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, কবিরাজ রেজাউল করিম দীর্ঘদিন ধরে অসহায় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নানারকম অপচিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। পাবনা জেলার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ধলেশ্বর মহল্লার রেজাউলের বাড়ির আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহারুল ইসলাম বলেন, ভুয়া কবিরাজকে আটক করে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষদের ধোঁকা দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিত সে। এসব অপকর্মের আরও কোনো সন্ধান পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।