হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পেটানোর ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় পিতাপুত্রসহ ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (১৬ মার্চ) নুরুল আমিন নামের এক সাংবাদিক মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম মামলার আসামি মোতালিব মিয়া, তার পুত্র বকুল মিয়া, মকুল মিয়া ও সেকুল মিয়া নামের চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
শুনানিকালে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বাদী মামলা না করলেও আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করতেন। তিনিও পাগলকে মারধরের ভিডিওটি দেখেছেন বলে আইনজীবীদের জানান। বাদীপক্ষে শাহ ফকরুজ্জামানসহ ১৫-২০ জন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক নুরুল আমিনের পক্ষে ফি ছাড়াই মামলাটির দায়িত্ব নেন অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান। শুনানিতে ২০-২৫ জন আইনজীবী জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করলে বিচারক মামলাটি আমলে নেন।
মামলা বাদী সাংবাদিক নুরুল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া বাজারে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে আব্দুল মোতালিব মাস্টারের হুকুমে তার তিন সন্তান পিটিয়ে জখম করেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও ওই দিন সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়; কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা দোকানপাট লাগিয়ে পালিয়ে যান।
নুরুল আমিন বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি মামলাটি করেছেন। না হলে সমাজে এ ধরনের অপরাধ বাড়তেই থাকবে। আইনজীবীরা এ মামলায় কোনো প্রকার ফি না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আইনজীবী শাহ ফখরুজ্জামান বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা থাকতে পারে না। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিচারক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, “গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছি। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”