• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভাবিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, কৃষক দল নেতার বিরুদ্ধে মামলা


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
ভাবিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, কৃষক দল নেতার বিরুদ্ধে মামলা
জেলার মানচিত্র

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় রাশিদা বেগমের (৩৭) নামের এক গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আরব আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ওই গৃহবধূ সম্পর্কে কৃষক দল নেতার বড় ভাবি ছিলেন।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলার বিষয়টি আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর রশীদ নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে নিহত গৃহবধূর বাবা আবু সাইদ মোল্যা বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রাম এলাকার মৃত. মোস্তফা মোল্যার ছেলে ও উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব নিহত গৃহবধূর দেবর আরব আলী (৩৮), গৃহবধূর স্বামী মো. আজগর হোসেন (৫০), দেবর আশরাফ আলী (৪৫) ও ননদ (আরব আলীর বোন) মর্জিনা বেগম (৫৫)। এ মামলার ২ নম্বর আসামি কৃষক দলের সদস্য সচিব আরব আলী।

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯ বছর আগে আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আজগার হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার কাতলাসুর গ্রামের বাসিন্দা আবু সাইদ মোল্যার মেয়ে রাশিদা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সংসারে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে থাকেন রাশিদা বেগম। স্বামী আজগার হোসেন প্রবাসে থাকলেও মোবাইলে তার পরিবারের সদস্যদের প্ররোচনা দিয়ে রাশিদা বেগমের ওপর নির্যাতন চালাতেন। বিষয়টি নিয়ে বহুবার স্থানীয় ও প্রশাসনিকভাবে শালিস বৈঠক হলেও দিনে দিনে গৃহবধূর ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে।

এক পর্যায়ে রাশিদা বেগম নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরব আলীর বসতঘরে সবার অজান্তে বিষ পান করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে পরের দিন সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে একদিন চিকিৎসার পর রাশিদা বেগমের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ ডিসেম্বর দুপুরে তিনি মারা যান।

রাশিদা-আজগার দম্পতির সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর রশীদ বলেন, গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 
 

Link copied!