ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন, ভাঙ্গা থানার ওসি মামুনসহ আওয়ামী লীগের ৯৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আরও অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ভাঙ্গা থানা সূত্রে মামলার বিষয়টি জানা যায়।
এর আগে বুধবার দুপুরে ফরিদপুর দ্রুতবিচার আদালতে মামলাটি করেন ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান সিকদার মিঠু। বৃহস্পতিবার সকালে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে নিক্সন চৌধুরীসহ ১১০ জনের নামে ভাঙ্গা থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. সাইদুর রহমান সিকদার মিঠু এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ৩ আগস্ট সকাল ১০টার সময় ভাঙ্গা বিশ্বরোড গোলচত্বর রাস্তার ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নিক্সন চৌধুরী, শাহাদাৎ হোসেনসহ এক থেকে দশ নম্বর আসামির নির্দেশে অজ্ঞাত আসামিরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে হামলায় অংশ নেন। আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর ককটেল, হাতবোমা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ওপর ১০ নম্বর আসামি ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন ও তার সহযোগীরা প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেন।
এতে মামলার বাদীসহ ঘটনাস্থলে অনেক ছাত্র-জনতা ও পথচারী আহত হন। এ সময় বাদীর মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আসামিদের ছোড়া ইট-পাটকল ও ককটেল বিস্ফোরণে অনেকে আহত হন। আহতরা ভাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করায় মামলাটি করতে বিলম্ব হয়েছে বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেন।
পলাতক থাকায় ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদ হোসেন জানান, দ্রুতবিচার আইনে একটা মামলা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তবে মামলাটি আদালত পিবিআইকে তদন্ত দিয়েছেন।