বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নিহত হওয়ার ৩ দিন পর হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে মামলার বাদী হয়েছেন নিহতের বন্ধু মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, মামলায় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব ওরফে দুলুকে প্ররোচণাদানকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি ১ নম্বর আসামি।
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সদস্য ও সদর উপজেলা লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্র নগর বাজার এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪ থেকে ৫জন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম গত রোববার দুপুরে মারা যান।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ড একটি জঘন্য অপরাধ। এ বিবেচনায় জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যায় সরাসরি জড়িত ও যারা হত্যার প্ররোচণা বা ইন্ধন জুগিয়েছেন, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম জানান, তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তার স্বামীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি হিসেবে ফাঁসির দাবি করেছেন তিনি।