• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩০, ১৫ রজব ১৪৪৬

কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাইজকান্দি থেকে আড়ুয়াকান্দী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এইচবিবি সড়ক ও খালের ওপর তিনটি ব্রিজ নির্মাণকাজ সম্পন্ন না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো.  সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে মামলার নথি পাঠানো হয় বিশেষ জেলা জজ আদালতে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়কে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলায় আসামিরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আনিচুর রহমানি এবং প্রকল্পের ঠিকাদার ও মেসার্স হাবীব এন্ড কোং এর স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাইজকান্দি থেকে আড়ুয়াকান্দী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এইচবিবি সড়ক ও খালের ওপর তিনটি ব্রিজ নির্মাণকাজ হাতে নেয় গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ। প্রতিটি ব্রিজে ১২ মিটার করে সংযোগ সড়ক থাকার কথা থাকলেও ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না করে প্রকল্পের ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন প্রকল্পের প্রকৌশলী ও ঠিকাদার ।

ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় ৯ বছর ধরে জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মই বেয়ে গ্রামবাসীকে উঠতে হচ্ছে সেতুতে। গত বছরের ১৭ আগস্ট ধানের বস্তা মাথায় নিয়ে মাইজকান্দি পশ্চিম পাড়া ব্রিজ পার হচ্ছিলেন স্থানীয় দিনমজুর মুরাদ আলী। এ সময় সেতু থেকে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। পড়ে তিনবার অপারেশন করার পর তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে এ বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জেলা পরিষদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আনিচুর রহমান ও ঠিকাদার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৪০৯ /৪২০/১০৯ সহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় মামলা করেন।

জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, “কিছুদিন আগে আমরা সরেজমিনে গিয়েছিলাম। তার দুই দিন পর  প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করার পর কমিশনের অনুমতিক্রমে আজ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩টি ধারায় মামলা করা হয়েছে।” 

Link copied!