• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান, ৩ বাস কাউন্টারকে জরিমানা


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৯:১৮ এএম
অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান, ৩ বাস কাউন্টারকে জরিমানা

নোয়াখালীতে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় বন্ধে জেলা প্রশাসককে এক আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পর বাস কাউন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) শাহনেওয়াজ তানভীরের নেতৃত্বে জেলা শহরের বিভিন্ন বাস কাউন্টারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় নোয়াখালী-ঢাকা রুটে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের দায়ে নীলাচল, হিমাচল ও একুশে পরিবহন নামে তিনটি বাস কিাউন্টারের ম্যানেজারদের ৭ দিন করে জেল এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে একই অপরাধ করলে আরও বড় ধরনের সাজা দেওয়া হবে বলে হুশিয়ার করে দেওয়া হয়।

অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কাউসার মিয়া, বিআরটিএ, নোয়াখালীর মোটরযান পরিদর্শক মাহবুব রব্বানী এবং লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো আইনজীবী মুহাম্মদ সামছুল ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা জজ আদালাতের আইনজীবী মুহাম্মদ সামছুল ফারুক নোয়াখালী-ঢাকা রুটে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং বাস মালিক মালিকদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

জেলা প্রশাসক ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, বিআরটিএ, নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক, হিমাচল পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লাল সবুজ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং একুশে পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ সামছুল ফারুকের দাবি, “নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১৬২ কিলোমিটার। দূরত্ব অনুযায়ী এ রুটে বিআরটিএ নির্ধারিত বাস ভাড়া ৪৪৯ টাকা। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে বাস মালিকরা আদায় করে ৫০০ টাকা। অতিরিক্ত ৫০ টাকা ভাড়া আদায় সম্পুর্ণরূপে বেআইনী এবং অন্যায় হলেও এ বিষয়ে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

তিনি বলেন, “প্রতিদিন নোয়াখালী-ঢাকা রুটে ১০ হাজারের অধিক যাত্রী পরিবহন করেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫ লাখ টাকা, মাসে দেড় কোটি টাকা এবং বছরে ১৮ কোটি টাকার মতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে পরিবহন মালিকরা। কিন্তু এ বিষয়ে অতীতে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ বা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি এবং নিতেও চায় না। পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে মনে হয় যেন তারা জিম্মি হয়ে আছেন এবং দীর্ঘদিন যাবত নতুন কোনো পরিবহনও আমাদের এখানে আসতে পারছে না। এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্যই আমার এ আইনী নোটিশ।”

Link copied!