শখের বশে কবুতর পালন শুরু করলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার আজমাইন হোসেন (শান্ত)। তার খামারে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর।তার এ সফলতা দেখে কবুতর পালনে আগ্রহ বাড়ছে এলাকার বেকার যুবকদের।
তুলনামূলকভাবে অন্যান্য পোষা প্রাণীর চাইতে কবুতর পালনে তেমন বেগ পেতে হয় না। এছাড়া কবুতরের মাংস পুষ্টিকর ও সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। আর এই চাহিদাকে পুঁজি করেই শান্ত নিজের আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন কবুতরের খামার।
শান্ত জানান, কবুতরের মধ্যে গিরিবাজ, ফ্লাই, রেইসিং, প্যান্সি ও ফিজিউন জাতের কবুতরই বেশি পালন করছেন। এসব জাতের কবুতর ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা জোড়ায় বিক্রি করে থাকেন তিনি। যে কারণে এসব জাতের কবুতর বেশি পালন করছেন। তার খামারে তিনটি স্তর করে আলাদা আলাদা কবুতর রাখা হয়েছে।
শান্ত আরও জানান, ৫ জোড়া কবুতর দিয়ে খামার শুরু করেছিলেন তিনি। বর্তমানে তার খামারে ৫০ জোড়া কবুতর রয়েছে। এর মধ্যে রেডস চেগার, সবজি রেসার, নাসকি রেসার, মিলি রেসার, কালো বাগদাদী, হোয়াইট বাগদাদী, কালো ময়না ওমা ও গ্রিজেল রেসার জাতীয় কবুতর রয়েছে। ক্রেতাদের কাছে এসব শ্রেণির কবুতরের বেশ চাহিদা বলেও জানান তিনি।
শান্ত জানান, ঠিকমত খাদ্য ও পরিচর্যা পেলে কোনো কোনো কবুতর দুই-তিন মাস পরপরই নতুন বাচ্চা দেয়। আর প্রতি জোড়া কবুতর ২ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান হোসেন জানান, এখন অনেক যুবকই নিজ উদ্যোগে কবুতর পালনে এগিয়ে আসছেন। বেকার যুব সমাজকে কবুতর পালনে এগিয়ে আসতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এটি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া কবুতর পালনে শ্রম ও খরচ কম। তাই এ পেশায় যুবকরা বেশি ঝুঁকছেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমরা কবুতরের জন্য কৃমির ঔষধ, ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিয়ে থাকি।