• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দামাদামি করে ইলিশ ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা


চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ০১:১০ পিএম
দামাদামি করে ইলিশ ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইলিশ কিনতে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসেন অনেকেই। কিন্তু ভরা মৌসুমেও পদ্মা-মেঘনায় নদী থেকে ধরা ইলিশের চড়া দামের কারণে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে ক্রেতারাদের।

শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুরের মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা ও পাইকারি ইলিশ কেনাবেচাকে আড়তগুলো সরগরম। তবে পাইকারির চাইতে খুচরা ইলিশের ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি।

জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন এই ঘাটে প্রতিদিনই ইলিশ কিনতে আসেন। ঘাটের পাশেই পর্যটন কেন্দ্র তিন নদীর মোহনা। যে কারণে ভ্রমণে আসা লোকজনও ইলিশ কেনার জন্য এই ঘাটে ভিড় জমান।

রাজধানী ঢাকা থেকে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা জহিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকাতে যে ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হয় ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। ওই সাইজের ইলিশ এখানে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা ইলিশের সরবরাহ কম বলে জানাচ্ছেন।

কুমিল্লা থেকে ইলিশ কিনতে এসেছেন হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, “৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে ইলিশ পাব সেই আশায় এসেছি। কিন্তু এখানে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশই বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। আমাদের আয় কম। তাই ইলিশ না কিনে ফিরে যেতে হচ্ছে।”

ফরহাদ হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, “ঘুরতে এসেছি তিন নদীর মোহনায়। ঘুরেছি কিন্তু ইলিশ কিনতে পারিনি। কারণ ইলিশের যে দাম, তাতে আমাদের পক্ষে ইলিশ কেনা সম্ভব না।”

নাছির উদ্দিন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, “গত বছর ঠিক এই সময়ে এই ঘাটে ইলিশ কিনতে এসেছি। তখন ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু এখন ওই সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২ হাজার টাকা। আর ১ কেজি ওজনের বেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। আগে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি থাকায় ইলিশের দাম বেড়েছে। কিন্তু এখন সেগুলো না থাকলেও ইলিশের দাম কমছে না।”

এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের বেশি দামে ইলিশ ক্রয় করতে হচ্ছে। যে কারণে তারাও একটু বেশি দামেই বিক্রি করছেন। আর গত বছরের তুলনায় ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। সেই হিসেবে সরবরাহ নেই।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারি জমাদার মানিক বলেন, ইলিশ পর্যায়ক্রমে প্রতিবছর উৎপাদন কমছে। সে হিসেবে চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু তুলনামূলক দাম বাড়েনি। ক্রয়ের আলোকে আমাদের বিক্রি করতে হয়। তবে, মৌসুমের শেষ সময়েও যদি সরবরাহ বাড়ে এবং নদীতে ইলিশ ধরা পড়ে তাহলে দাম কিছুটা হলেও কমবে। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগে ইলিশের দাম কমানো যায় না।

Link copied!