ঢাকার সাভার উপজেলায় যাত্রীবেশে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করেছে। এ সময় বাধা দিলে ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে চারজন আহত হন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রেডিও কলোনি এলাকা থেকে সিঅ্যান্ডবি ও ডেরি গেইট এলাকার মাঝামাঝি ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ডাকাতদলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে শামীম হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শামীম আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ঢাকার একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন।
তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া বাকি আহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসান মাহবুব।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাসের যাত্রী পোশাক শ্রমিক হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি উলাইল স্ট্যান্ড থেকে ওয়েলকাম পরিবহনের বাসে উঠি। সামনে মহিলাদের আসনে বসা তিন যাত্রীর সঙ্গে বসলে, তারা আমাকে জানালার পাশের সিটে বসতে বলেন। তাদের কথামতো জানালার পাশের সিটে বসার কিছুক্ষণ পর ওই তিনজন ধারাল অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তারা যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। এর মধ্যে একজনকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে আতঙ্কে বাসের অন্য যাত্রীরা যার কাছে যা ছিল সব তাদের দিয়ে দেয়।”
ছুরিকাঘাতে আহত শামীম হোসেনের ভায়রা মিজানুর রহমান বলেন, “যারা টাকাসহ মূল্যবান মালামাল দিতে চায়নি তাদেরকে ছুরিকাঘাত করেছে ডাকাতরা। সব লুট করে নেওয়ার পর সি অ্যান্ড বি এলাকার ইউটার্নে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।”
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দে বলেন, “ঘটনার পর বিশমাইল এলাকায় ছাত্ররা ওই বাসের চালক ও তার সহকারীকে আটক করেছে। ঘটনাটি মূলত সাভার এলাকায়। তাই সাভার থানাকে অবহিত করেছি।”
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া বলেন, ডাকাতির ঘটনার একটি ম্যাসেজ পেয়েছেন তিনি। তবে সুনির্দিষ্ট কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।