মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হেলিকপ্টার থেকে গুলি, স্থলভাগ থেকে দফায় দফায় ছোঁড়া গুলির কারণে বাংলাদেশ সীমান্তের চাষীরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মিয়ানমারের ভারী একটি মর্টার শেল পড়েছে। এতে ওই স্থানে প্রায় ১০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও সীমান্তের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের পাঁচটি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তুমব্রু সীমান্তের ৩৪ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকার জিরো পয়েন্টে মর্টার শেলটি পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমার জান্তা সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে চলছে। চলছে সীমান্ত ঘেঁষে ওপারে কামানের গোলা নিক্ষেপের পাশাপাশি বিমান থেকে গোলা বর্ষণের ঘটনা। সোমবার সন্ধ্যায়ও ৩৪,৩৫, ও ৩৬ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় ভারী অস্ত্র ও মর্টার শেল বিষ্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে গোলাগুলির কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সীমান্তের ওপরে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, “সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দের কারণে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকার মাদ্রাসাসহ আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরির্দশন করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।