সীমান্তে রাতের আঁধারে লাইট বন্ধ করে কয়েকটি বাঙ্কার খনন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ফেনীর পরশুরামে নিজকালিকাপুর সীমান্তে সোমবার বাঙ্কার খোঁড়ে তারা। অন্যদিকে মুহুরী নদীসংলগ্ন বল্লারমুখার বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সীমান্তে লাগানো লাইট বন্ধ করে ৫-৬টি বাঙ্কার খনন করেছে বিএসএফ। বল্লামুখার বাঁধের ৭০ মিটার অংশের ৩০ মিটার নো ম্যানস ল্যান্ডে রয়েছে, এমন দাবি করে বিএসএফ বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণের শুরু থেকেই বারবার বাধা দিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারতের ঈশানচন্দ্র নগর ও বাংলাদেশের নিজ কালিকাপুর ক্যাম্পের বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। দুপুরে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে সীমান্তে ওই জায়গাটি কয়েকবার পরিমাপ করা হয়। বিজিবির পক্ষে মজুমদারহাট কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবদুর রশিদের নেতৃত্বে সেখানে বিজিবি সদস্যরা শক্ত অবস্থান নেয়।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের শক্তি আগেই নষ্ট করে দিয়েছে। ১৫ বছর আগের শক্তি থাকলে তারা কাছে আসতে পারত না। আমি সিলেট থাকা অবস্থায় আমার হাতে অস্ত্র ছিল না। শুধু লাঠি ছিল তারপরেও বিএসএফ ভয়ে আমার কাছে আসত না। সীমান্তের মিটিংয়ে অস্ত্র আনা আর্ন্তজাতিক নিয়মের পরিপন্থী। আমরা খালি হাতে যাই। কিন্তু তারা অস্ত্র নিয়ে আসে। সীমানা রক্ষায় বিন্দু পরিমাণ ছাড় নেই।
সরেজমিনে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনী জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া, ফেনী সদরসহ বৃহত্তর নোয়াখালী ৯০ ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। স্মরণকালের ভয়াবহ ওই বন্যায় জেলার কয়েক লাখ মানুষ ঘরবাড়ি, ফসল ও সম্পদ হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়। বন্যায় মুহুরী কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ১০২টি স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। যার মধ্যে মেরামতকাজ সম্পন্ন হয় ৯৬টির। এতে ব্যয় হয় ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।