কুমিল্লার মুরাদনগরে সেতু নির্মাণের দুই বছরের হয়নি সংযোগ সড়ক। তাই বাধ্য হয়ে সেতুর সঙ্গে বাঁশ বেঁধে চলাচল করছেন গ্রামবাসী।
সরেজমিনে উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রোয়াচালা আহাদ মিয়ার বাড়ির সামনে কুড়াখালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য এলজিএসপি-৩ এর আওতায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সেতুটি বাস্তবায়ন হয়। পরে উদ্বোধন করেন শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার। বরাদ্দের টাকায় সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কথা থাকলেও সেখানে মাটিই ফেলা হয়নি। এ কারণে সেতু পারাপারে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
রোয়াচালা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, এই সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় রোয়াচালা বাজারে আসতে এবং কুড়াখাল বাজারে যেতে প্রায় তিন কিলোমিটার হাঁটতে হয় তাদের। পাশাপাশি কুড়াখাল ও কুরুণ্ডি গ্রামে যে ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে যেতে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
এ ব্যাপারে শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার বলেন, “সেতুটির দুই পাশে খুব গভীর। এ কারণে বরাদ্দের টাকায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য দূর থেকে মাটি আনা যাচ্ছে না। কিছুদিনের মধ্যে পানি কমলেই সেখানে মাটি ফেলে সেতুর সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া হবে।”
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঞা জনি বলেন, দ্রুতই ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সড়কের সঙ্গে সেতুটির সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।