টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সড়কের একটি অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতু সংলগ্ন সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সেতু দিয়ে কোনো যানবাহন পারাপার হতে পারছে না। সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে যেতে পারলেও সেতুর দুই পারে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পশ্চিম অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন, “শুষ্ক মৌসুমে প্রতি বছরই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই ব্রিজের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে। যার কারণে বন্যা হলেই ব্রিজটি ঝুঁকিতে পড়ে। প্রতি বছরই এই ব্রিজের পাশে মেরামত করা হয়। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন চরাঞ্চলের হুগডা, কাকুয়া, মাহমুদনগর, পোড়াবাড়ি ও কাতুলীসহ পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। জেলা শহরে সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটিই। ব্রিজ এত টাকা খরচ করে সরকার আমাদের চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে। আর এই ব্রিজটির পাশে যদি কোনো স্থায়ী বাঁধ না হয় তাহলে প্রতি বছরই এই ভোগান্তি হবে।”
এ বিষয়ে কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, প্রতি বছরই শুকনো মৌসুমে ব্রিজের পাশে মাটি কাটা হয়। যার কারণে ব্রিজের পাশে প্রতি বছরই ভেঙে যায়। এই ব্রিজ দিয়ে যে সমস্ত যানবাহন চলাচল করত, সেটি আজ সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হবে।”