টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সরকারি নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে পুকুরে অবাধে ফেলা হচ্ছে বাসা-বাড়িসহ পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা। এতে চারপাশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পুকুরে পাশে থাকা দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, হাসপাতালের রোগী, থানা ও ভূমি কার্যালয়ে আসা সেবাগ্রহীতাসহ পথচারীরা।
সম্প্রতি সরকারি পুকুরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় থেকে একাধিবার নিষেধ করে নির্দেশমূলক সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। এতে বলা হয়, সরকারি স্বার্থ, পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রক্ষার্থে আশে-পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলা নিষেধ। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভূমি কার্যালয় থেকে নিদের্শনামূলক এই সাইনবোর্ড টাঙানোর কিছুদিন যেতে না যেতেই সেটি ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত। যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। সাইনবোর্ড টাঙিয়ে একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। সরকারি এই সম্পত্তি (পুকুরটি) এখন দিনদিন ময়লার ভাগারে পরিণত হচ্ছে। সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলা দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
সাগর মিয়া নামের এক কলেজছাত্র বলেন, “ভূমি অফিসের এই পুকুরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এ কারণে আমরা দুর্গন্ধে পুকুরের পাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারি না। সরকারি সাইনবোর্ড টাঙানো হলেও তা মানা হয় না। উল্টো দুর্বৃত্তরা সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেছে। ময়লা ফেলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
হাসপাতালে আসা রোগী ফলদা গ্রামের বেল্লাল হোসেন বলেন, “পুকুরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় দুর্গন্ধে থাকা যায় না। দুর্গন্ধে সুস্থ মানুষের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। রোগীরা তো আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে। এখানে যেন ময়লা ফেলা না হয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, “ভূমি অফিসের পুকুরটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধে ও সৌন্দর্য রক্ষায় সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। জানতে পেরেছি সাইডবোর্ডটি কারা যেন ভেঙে ফেলেছে এবং ময়লা-আবর্জনাও ফেলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”