• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ১৩ রমজান ১৪৪৬

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ ছেলে, পরিবারের আকুতি


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ ছেলে, পরিবারের আকুতি

২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও মিলনকে ফিরে পাননি বাবা। প্রায় ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও ছেলেকে ফিরে না পেয়ে ভেঙে পড়েছে পরিবারটি। মিলন হোসেন (২৩) ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং খনগাঁও ইউনিয়নের চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে এবং দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র।

মিলনকে ফিরে পেতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী।

এ সময় অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিলনের মা বলেন, “আমার ছেলেকে অপহরণ করে তারা কোথায় রেখেছে জানি না, কেমন আছে জানি না। অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল, আমরা গরিব খেটে খাওয়া পরিবার সবকিছু বিসর্জন দিয়ে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েছি। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পরও তারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়নি।” এসময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে ছেলেকে ফেরত চান এবং এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মিলন হোসেন। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে মিলনের পরিবারকে কল করে অপহরণের বিষয়টি জানায় অপহরণকারীরা।

প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় তারা। পরদিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরে চক্রটি ৫ লাখ দাবি করে। পরদিন আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। তিন দিন পর ১৫ লাখ টাকা চায় চক্রটি। সবশেষ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

অপহৃত মিলনের পরিবার জানায়, অপহরণকারীরা যখন যত টাকা চেয়েছে তা দিতে রাজি ছিল ভুক্তভোগী পরিবারটি। তবে বিভিন্ন সময় টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ঘটনাটি দীর্ঘ করেছে অপহরণকারীরা। সবশেষ ৯ মার্চ রাতে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকাগামী ৯টা ৫৪ মিনিটের ট্রেনে উঠতে বলে অপহরণকারীরা। এরপর জেলার পীরগঞ্জের সেনুয়া নামক স্থানে চলন্ত ট্রেন থেকে ২৫ লাখ টাকার ব্যাগটি বাইরে ফেলে দিতে বলে চক্রটি। মিলনের জন্য দুই জোড়া পোশাকসহ ২৫ লাখ টাকা ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ১০ মিনিট পর টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে অপহরণকারী চক্র।

এরপর দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে অপহৃত মিলনকে পাওয়া যাবে বলে তথ্য দেয় চক্রটি। স্টেশনে গিয়ে সম্পূর্ণ স্টেশন তন্নতন্ন করে খুঁজাখুঁজি করা হয়। সেই রাতের ১১টা থেকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ছেলের দেখা পায়নি পরিবারটি।

Link copied!