দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবৈধভাবে অতিক্রম রোধে আরও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কঠোর নজরদারিও বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। অপর দিকে ভারত সীমান্তেও কড়া নজরদারি ও টহল জোরদার করেছে বিএসএফ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটলিয়নের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত অতিক্রম রুখতে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অতিক্রম রোধে বিজিবিকে 8801769-600682 এবং +8801769-620954 নম্বরে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহব্বান জানানো হচ্ছে সবার কাছে।
শরিফুল ইসলাম জানান, বেনাপোল, পুটখালি, গোগা, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, সিকারপুর, ডিহিসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ অতিক্রম রোধে সদর দপ্তরের নির্দেশনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিজিবি।
এদিকে সীমান্তের ইমিগ্রেশনে সন্দেহজনক যাত্রীদের যাতায়াতে গতিবিধি লক্ষ রাখছেন প্রশাসনের বিভিন্ন এজেন্সির সদস্যরা। বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশ নিয়েছেন কঠোর অবস্থান।
ইতিমধ্যে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত কমেছে বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় বিএসএফের পক্ষ থেকে এই অনুরোধ জানানো হলো।
এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যেকোনো ‘অপ্রত্যাশিত’ পরিস্থিতির জন্য ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের প্রসঙ্গও টেনেছেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের জেলা শহর লখনৌতে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) যৌথ কমান্ডারদের সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এই নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীন সীমান্ত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতির ওপর ব্যাপক বিশ্লেষণের জন্য জোর দেন।
এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমানার নিশ্ছিদ্র রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলের জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও বদ্ধপরিকর। গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিযুক্ত বিশেষ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর বিএসএফ এই অবস্থান ব্যক্ত করেছে।