সিরাজগঞ্জের যমুনাসহ আশপাশের ফুলজোড়, করতোয়া, বড়াল ও হুড়া সাগড় নদী ভরে উঠেছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে। এতে যমুনা ও চলনবিলের নদ-নদী, খাল-বিলে দেখা মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে বোয়াল মাছ। ছোট-বড় এসব বোয়াল ধরতে সৌখিন ও পেশাজীবী মাছ শিকারীরা জাল, জুইতা ও টেঁটা হাতে উৎসবে মেতে উঠেছেন।
এত বোয়াল দেখে অবাক হয়েছেন স্থানীয়রা। দিন দিন নদ-নদী থেকে যখন মাছ উজার হয়ে যাচ্ছে তখন এত মাছ দেখে অনেকে আত্মহারা। যমুনা তীরবর্তী সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, চৌহালীসহ চলনবিল এলাকায় মাঝ ধরার উৎসব চলছে। স্থানীয় হাট-বাজারেও কেনাবেচা হচ্ছে এসব বোয়াল।
মাছ শিকারীরা বলছেন, যমুনা তীরবর্তী নদ-নদী ছাড়াও বিলঝিলে ঝাঁকে ঝাঁকে ছোট, বড় বোয়াল ধরা পড়ছে। এসব বোয়ালের বেশিরভাগই ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের। তবে প্রশ্ন জেগেছে, এত বোয়াল কোথা থেকে আসছে। কীভাবেই বা আসছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক বোয়াল মাছ এখন আর দেখাই যায় না। এমন পরিস্থিতিতে ঝাঁকে ঝাঁকে বোয়াল মাছ দেখার জন্য ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। অনেকেই কেনার জন্য দরদামও করছেন।
নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয়ে বিপুল পরিমাণ বোয়াল মাছের উপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন চৌহালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর হাসান মজুমদার। তিনি বলছেন, বিভিন্ন নদ-নদীর মাছ সংরক্ষণের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বেড়ে উঠেছে। বংশ বিস্তার করেছে। যা এখন ধরা পড়ছে। তবে শিকারিদের ডিমওয়ালা মা মাছ না ধরার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন এই মৎস কর্মকর্তা।