ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি মো. রাজুর (২৮) লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জগদল সীমান্তের শূন্যরেখায় বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুর থানার পুলিশ।
নিহত রাজু মিয়া বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়ল হার্ট ইউনিয়নের গড়িয়ালী গ্রামের বাসিন্দা মো. হবিবরের ছেলে।
লাশ হস্তান্তরের সময় সেখানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশর (বিজিবি) সদস্যরা ছাড়াও বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহত রাজু মিয়ার স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় পুলিশের কাছ থেকে লাশ পাওয়ার পরপরই নিহত রাজুর স্বজনদের হাতে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বড় পলাশ বাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন মিয়া।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে উপজেলার নাগরভিট সীমান্ত এলাকায় বিওপি আওতাধীন মেইন পিলার ৩৭৬/৫এস থেকে ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে তিনগাঁও নামক স্থানে নিহত হন তিনি।
পরে শুক্রবার দুপুরে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে ওই যুবকের মারা যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বিএসএফ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল বাহিনী।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির বলেন, শনিবার রাত ১০.৩০ মিনিটে নাগরভিটা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে শনিবার উভয় দেশের থানার পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে রাজুর লাশ বিজিবি ও পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।