বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রেজিস্ট্রারের অপসারণ ও আন্দোলনরত ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের প্রতিবাদে দুই ঘণ্টাব্যাপী বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
অবরোধ চলাকালে দুই পাশে বিশাল যানবাহন লাইন পড়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও যানবাহনসংশ্লিষ্টরা। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালের মধ্যে দাবি মানা না হলে আবারও মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ তুলে নেওয়াসহ ৪ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহাল এবং স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের দায়ে উপাচার্য শুচিতা শরমিনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন।
আন্দোলন চলাকালে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটামুখী যাত্রীবাহী বাসসহ দূরপাল্লার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে রাত পৌনে ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গত কয়েক দিন ধরে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ, অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছে একদল শিক্ষার্থী। এর অংশ হিসেবে রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহসহ বিক্ষোভ করে তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিলে ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আরও ক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা।