দাবি মানার আশ্বাসে নৌযান ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন মোংলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, তিন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন যথাক্রমে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌপরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার (৪ মার্চ) শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌযান মালিক সমিতি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক শেষে তিন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা এ ঘোষণা দেন।
১১ দফা দাবি আদায়ে সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশে নৌধর্মঘট পালনের কথা ছিল। কর্মসূচি স্থগিত করার ফলে সারাদেশে নৌযান চলাচল অব্যাহত থাকবে।
নৌযানশ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, পুলিশি হয়রানি বন্ধ করাসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা করে নৌযানশ্রমিকেরা। দাবির পক্ষসমর্থনে দতরাল বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন নৌযানশ্রমিকেরা।
দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, নৌযানশ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেওয়া, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি-ছিনতাই ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা, নৌপথের নাব্যতা রক্ষা, নৌযানশ্রমিকদের পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র দেওয়া, রাতে চলাচলের জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা। এ ছাড়া সব মালিক সমিতিকে এক প্ল্যাটফর্মে এনে সব বন্দরে পণ্য পরিবহন, মালিকপক্ষের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক অমীমাংসিত বিষয়ে আবার চুক্তি করা। চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপদে জাহাজ রাখার জন্য শঙ্খ নদকে উপযোগী করা, চট্টগ্রাম বন্দরে নাবিকদের নিরাপদে ওঠানামার জন্য পাঁচটি ঘাট ইজারামুক্ত করা, আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া মাস্টার ও ড্রাইভার সনদ বাতিলের কার্যক্রম বন্ধ করা।
বৈঠকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, নৌযান মালিক সংগঠনগুলোর নেতা, সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।