দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ১৬ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৪ জুন) রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা ও সদস্য সচিব মামুন অর রশিদের স্বাক্ষরিত সুপারিশপত্র বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির এ ১৬ জন নেতা ২১ জুন অনুষ্ঠেয় রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন।
সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যাদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন রাজপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বদি, ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবু বকর কিনু, শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি টুটুল, শাহমখদুম থানা বিএনপি সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান লিটন, সাবেক মহানগর যুবদলের সভাপতি বেলাল হোসেন, যুবদলের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রনি হোসেন রুহুল, যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা রিপন, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ আল মাহমুদ লুকেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আনোয়ারুল আমিন আজব, মতিহার থানার সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল হাসান বাচ্চু, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা বেগম বেলী, বন ও পরিবেশক বিষয়ক সম্পাদক আলতাফুন নেসা পুতুল, মহানগর মহিলা দলের ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহার, মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি শাহনাজ বেগম শিখা ও মহানগর মহিলা দলের ৪ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক আয়েশা খাতুন মুক্তি।
সুপাশিপত্রে বলা হয়েছে, উল্লিখিত নেতারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সেহেতু উক্ত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হলো।
