নড়াইলের লোহাগড়ায় আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের চোরখালী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন লোহাগড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে মিন্টু, ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. ঝন্টু মিয়া, বিএনপির সমর্থক হাফিজুর রহমান, বাবলু শেখ, দোলেনা বেগম। তাদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিকে এঘটনায় আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিন্টুর চাচা আবুল কালাম আজাদ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। পরে পুলিশ এজাহারভূক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের চোরখালী এলাকায় আনিস মোল্যার চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরা দলীয় লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এ খবর জানতে পেরে বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের লিফলেট বিতরণ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চোরখালী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে আক্কাস ফকির, ইদ্রিস সরদার, রবিউল মল্লিক, ইব্রাহিম মোল্যা, আনিস মোল্যা ঝন্টু ফকিরসহ ২০/২৫জন মিলে হাতুড়ি, লোহার রড, রামদা, লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়ে লোহাগড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এস কে মিন্টুসহ ৫ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি আক্কাস ফকির ও ঝন্টু ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।