ভিন্ন ভিন্ন পথে ও নানা মাধ্যমে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে ছুটছেন পাবনার নেতাকর্মীরা। সড়ক, নৌ ও রেল পথসহ বিভিন্নভাবে ঢাকায় যাওয়া শুরু করেছেন পাবনা জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে জেলা নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে পাবনার বেড়া, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলার নেতা-কর্মীরা কাজিরহাট দিয়ে নদী পথে ফেরি পার হয়ে, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুরের বেশিরভাগ নেতা-কর্মী ট্রেন যোগে ও পাবনা সদরের নেতা-কর্মীরা বাস, ট্রেন ও রেল পথে ঢাকার সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, পুলিশ প্রশাসনের নানা ঝুটঝামেলা এড়াতে কৌশলগত ভাবে এক সঙ্গে না গিয়ে নেতা-কর্মীরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রুটে ঢাকার সমাবেশে যোগদান করতে ইতোমধ্যে রওনা হয়েছেন। অনেকে পৌঁছে গেছেন, অনেকে পথে ও যাত্রার আয়োজনে রয়েছেন। সমাবেশ সফলের এই জনজোয়ার আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত চলবে। তিনি আরও বলেন, “বাস ধর্মঘটের কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই যাত্রা শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। আগামীকাল ও পরশু প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ নেতা-কর্মী ট্রেন, বাস ও ফেরি পথে ঢাকা যাবেন বলে আশা করছি।”
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু জানান, পাবনা থেকে বিপুল সংখ্যাক নেতা-কর্মী সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, যাত্রাপথে এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সন্মুখীন হয় নেই বলে দাবি তার।
পাবনা শহরের কোচের কয়েকটি টিকিট কাউন্টার ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল কোচ কাউন্টারে একাধিক টিকিট মাস্টারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছু কোচের অগ্রিম টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর সামনে রেখে কোচগুলোর যাত্রীও কমে গেছে। ইতোমধ্যে কাজিরহাট আরিচাঘটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ অনেকাংশে কমেছে।
পাবনা এক্সপ্রেস পরিবহনের স্বত্বাধিকারী আবুল এহসান রেয়ন বলেন, “পরিবহন বন্ধ বা ধর্মঘটের কোনো তথ্য আমার জানা নেই। আমার কোচগুলো ট্রিপে গেছে। তবে কাউন্টারগুলো বলছে, যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় দুই ট্রিপের যাত্রী দিয়ে এক ট্রিপ করা হচ্ছে।”
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, “বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ঢাকা থেকে পাবনায় নেতাকর্মীদের যাতায়াতে কোনো ধরণের বাধাবিঘ্নর খবর বা কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে নেই।”