বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ভোলায় ছাত্রদলের একজন নেতা নিহত হয়েছেন। মনপুরা উপজেলায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ছাত্রদল নেতার নাম রাশেদ। বুধবার (১৯ মার্চ) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান।
নিহত রাশেদ দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের নুরউদ্দিন বাজার সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল ভোলা-৪ আসনের সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন সমর্থকদের মধ্যে। ওই দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা রাশেদসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কয়েকজনকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাশেদকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে নিলে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে ফরিদপুরে তার মৃত্যু হয়।
মনপুরা থানার ওসি আহসান কবির বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল নেতা রাশেদ মারা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।